বিষয়বস্তুতে চলুন

কাচিন রাজ্য

স্থানাঙ্ক: ২৬°০′ উত্তর ৯৭°৩০′ পূর্ব / ২৬.০০০° উত্তর ৯৭.৫০০° পূর্ব / 26.000; 97.500
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাচিন রাজ্য
ကချင်ပြည်နယ်
রাজ্য
কাচিন রাজ্যের পতাকা
পতাকা
মায়ানমারের মানচিত্রে কাছিনের অবস্থান
মায়ানমারের মানচিত্রে কাছিনের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৬°০′ উত্তর ৯৭°৩০′ পূর্ব / ২৬.০০০° উত্তর ৯৭.৫০০° পূর্ব / 26.000; 97.500
রাষ্ট্র Myanmar
অঞ্চলউত্তর
রাজধানীমাইটকয়িনা
সরকার
 • মূখ্য মন্ত্ৰীখাট আউং (এনএলডি)
 • LegislatureKachin State Hluttaw
আয়তন
 • মোট৮৯,০৪১.৮ বর্গকিমি (৩৪,৩৭৯.২ বর্গমাইল)
এলাকার ক্রমতৃতীয়
জনসংখ্যা (২০১৪)[]
 • মোট১৬,৮৯,৪৪১
 • ক্রমদশম
 • জনঘনত্ব১৯/বর্গকিমি (৪৯/বর্গমাইল)
Demographics
 • Ethnicitiesকাছিন, বামার, শান, নগা, চীনা, ভারতীয়, গোর্খা,
 • ধর্মসমূহবৌদ্ধ, খ্রিস্টান
সময় অঞ্চলMyanmar Standard Time (ইউটিসি+০৬:৩০)

কাচিন রাজ্য (বর্মী: ကချင်ပြည်နယ်, উচ্চারিত: [kətɕʰɪ̀ɴ pjìnɛ̀]; কাছিন: জিংফাও মুংডাও) হল মিয়ানমারের একটি রাজ্য। এটি মায়ানমারের উত্তর ভাগে অবস্থিত। এই রাজ্যের উত্তর এবং পূৰ্ব দিকে চীন অবস্থিত। দক্ষিণ দিকে অবস্থিত শাহ রাজ্য। পশ্চিম দিকে ভারত এবং ছাঘাইন অবস্থিত। রাজ্যটির মোট আয়তন হল ৮৯,০৪১.৮ বৰ্গ কিলোমিটার বা ৩৪,৩৭৯.২ বৰ্গ মাইল। কাছিন রাজ্যের মোট জনসংখ্যা হল ১৬ লাখ ৮৯ হাজার ৪৪১ জন। এই রাজ্যের সৰ্বোচ্চ শৃংগ হল হকাকাবো রাজি। এর উচ্চতা ৫,৮৮৯ মিটার। রাজ্যটির রাজধানী শহর হচ্ছে মাইটকয়িনা। এই রাজ্যের অন্য প্ৰধান শহরসমূহ হচ্ছে ভোমা এবং পুটাআরু। এই রাজ্যটি ২৩.২৭ থেকে ২৮.২৫ ডিগ্ৰী উত্তর স্থানাংকে অবস্থিত। ইণ্ডাইগয়ি হ্ৰদ এই রাজ্যতে অবস্থিত। কাছিন রাজ্য হিমালয়ের সম্প্ৰসারিত অংশ কাছিন পাহাড়ে অবস্থান করছে। এই পাহাড় রাজ্যের বেশির ভাগ অংশ জুড়ে অবস্থান করছে।

অবস্থান

[সম্পাদনা]

কাছিন রাজ্য মায়ানমারের উত্তরে চীন এবং ভারত সীমান্তে অবস্থিত। এই রাজ্যের গড় উচ্চতা সমুদ্ৰ পৃষ্ঠ থেকে ৬০০ থেকে ১০০০ মিটারের ও অধিক। সৰ্বোচ্চ অংশটি হল হকাকাবো রাজি শৃংগ। ২৩.২৭ থেকে ২৮.২৫ ডিগ্ৰী উত্তর এবং ৯৬ থেকে ৯৮.৪৪ ডিগ্ৰী পূৰ্বে রাজ্যটির অবস্থান। রাজ্যটি দেশেরে রাজধানী থেকে প্ৰায় ১০০০ কিলোমিটার বা ৬৫০ মাইল দূরে অবস্থিত।

অর্থনীতি

[সম্পাদনা]

কাচিন রাজ্যের অর্থনীতি প্রধানত কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। কৃষি কার্য করে এই রাজ্যের মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। এই রাজ্যের প্রধান অর্থকরী ফসল হল চা,ধান বা চাল, পাট। এছাড়া রাজ্যটিতে প্রচুর সেগুন গাছ জনন্মায়। এই সেগুন গাছ থেকে বিভিন্ন আসবাব শিল্প গড়ে উঠেছে। রাজ্যটির প্রধান শহর গুলি হল মাইটকয়িন, ভোযাপুটাও। এই শহর গুলিতে কিছু আধুনিক শিল্পের বিকাশ ঘটেছে। তবে এই শিল্প গুলি শহর গুলিতেই সীমা বদ্ধ। শহরের বাইরে এদের তেমন বিস্তার ঘটেনি। এই রাজ্যে কিছু এলাকায় স্বর্ণ খনি রয়েছে যা রাজ্যটির অর্থনীতির বিরাট ভূমিকা রাখে। এছাড়া এখানে মূল্যবান পাথর বা জিম স্টোন পাওয়া যায়।এই রাজ্যে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

[সম্পাদনা]

রাজ্যটি পাহাড় পর্বত দ্বারা বেষ্ঠিত হওয়ায় রাজ্যটির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা খুবই কঠিন। তবে রাজ্যটি সড়ক পথ দ্বারা অন্য রাজ্য গুলির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। রাজ্যের শহর গুলির সঙ্গে দেশের রাজধানী ও অন্যানপ্রধান শহর গুলি সরাসরি যুক্ত। রাজ্যটিতে মোট তিনটি বিমান বন্দর রয়েছে। এই বিমানবন্দর গুলি হল- মাইটকয়িন বিমানবন্দর, ভোমা বিমানবন্দরপুটও বিমানবন্দর। এর মধ্যে মাইটকয়িন বিমান বন্দর সবচেয়ে বেশি যাত্রী বহন করে।

জনসংখ্যা

[সম্পাদনা]

২০১৪ সালের হিসাব অনু যায়ী কচিন রাজ্যের মোট জন সংখ্যা হল ১৬ শক্ষ ৮৯ হাজার ৪৪১ জন। ১৯৭৩ সালে রাজ্যটির জন সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৩৯ জন এবং ১৯৮৩ সালে জন সংখ্যা ছিল ৯ লক্ষ ৪ হাজার ৭৯৪ জন। এই রাজ্যে কচিন জাতীর মানুষই সংখ্যা ঘরিষ্ট। এছাড়া রাজ্যটিতে ভারতীয়, চিনা মানুষ বাস করেন।

কাছিন রাজ্যে সব চেয়ে বেশি বৌদ্ধ ধর্মর মানুষ বসবাস করে। অন্য ধর্মসমূহের মধ্যে প্ৰধান হল খ্ৰীষ্টান , ইসলাম, এবং হিন্দু ধর্ম। রাজ্যটিতে মোট জনসংখ্যার ৬৪% শতাংশ মানুষ বৌদ্ধ ধর্ম পালন করে। খ্ৰীষ্টান ধর্ম পালন করে ৩৩ শতাংশ, হিন্দু এবং ইসলাম ধর্ম পালন করে যথাক্ৰমে ০.৪ এবং ১.৬ শতাংশ মানুষ । বাকী ১ শতাংশ মানুষ অন্য ধর্মমত বিশ্বাস করে।

ধর্মসমূহ
জনসংখ্যা
% '১৯৮৩
জনসংখ্যা
% ২০১৪[]
বৌদ্ধ ধর্ম ৫৮.৫% ৬৪.০%
খ্ৰীষ্টান ৩৮.৫% ৩৩.৮%
হিন্দু ধর্ম ১.৮% ০.৪%
ইসলাম ০.৫% ১.৬%
অন্য ধর্ম ০.৭% ০.২

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Census Report। The 2014 Myanmar Population and Housing Census। 2। Naypyitaw: Ministry of Immigration and Population। মে ২০১৫। পৃষ্ঠা 17। 
  2. Department of Population Ministry of Labour, Immigration and Population MYANMAR (জুলাই ২০১৬)। The 2014 Myanmar Population and Housing Census Census Report Volume 2-C। Department of Population Ministry of Labour, Immigration and Population MYANMAR। পৃষ্ঠা 12–15। 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]