ওকাজাকি দুর্গ
ওকাজাকি দুর্গ 岡崎城 | |||||
---|---|---|---|---|---|
ওকাজাকি, আইচি প্রশাসনিক অঞ্চল, জাপান | |||||
স্থানাঙ্ক | |||||
ধরন | hilltop-style জাপানি দুর্গ | ||||
ভবন/স্থাপনা/ক্ষেত্রের তথ্য | |||||
জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত | হ্যাঁ | ||||
ভবন/স্থাপনা/ক্ষেত্রের ইতিহাস | |||||
নির্মিত | ১৪৫৫, ১৫৪২ | ||||
নির্মাতা | সাইগো ৎসুগিওরি, মাৎসুদাইরা কিয়োয়াসু | ||||
ব্যবহারকাল | এদো যুগ | ||||
ভূমিসাৎ | ১৮৭১ | ||||
জাপানি নাম | |||||
কাঞ্জি | 岡崎城 | ||||
হিরাগানা | おかざきじょう | ||||
|
ওকাজাকি দুর্গ Okazaki Castle (岡崎城 Okazaki-jō) জাপান এর আইচি প্রশাসনিক অঞ্চলের ওকাজাকি শহরে অবস্থিত একটি জাপানি দুর্গ। এডো যুগের শেষে, এটি ওকাজাকি অঞ্চলের হোন্দা ক্ল্যান পরিবারের আবাসস্থল ছিল, তবে দুর্গটি তকুগাওয়া ইয়েয়াসু ও তকুগাওয়া ক্ল্যান পরিবারের সংশ্লিষ্টতার জন্য বেশি পরিচিত। দুর্গটি ‘তাৎসুজো’"Tatsu-jō " (龍城) নামেও পরিচিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৪৫৫ সালে বর্তমান দুর্গের নিকটে সাইগো ৎসুগিওরি একটি মাটির দুর্গপ্রাচীর নির্মাণ করেন। ১৫২৪ সালে ওই অঞ্চলের ক্ষমতা পাওয়ার পর মাৎসুদাইরা কিয়োয়াসু পুরনো দুর্গ ভেঙে বর্তমান দুর্গের স্থানে ওকাজাকি দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন॥ তার বিখ্যাত পৌত্র মাৎসুদাইরা মতোয়াসু (পরবর্তীকালের তকুগাওয়া ইয়েয়াসু) ১৫৪২ সালের ১৬ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ১৫৪৯ সালে মাৎসুদাইরাগণ ইমাগাওয়া ক্ল্যান কর্তৃক পরাজিত হন এবং ইয়েয়াসুকে বন্দী করে সানপু দুর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। ওকেহাজামা যুদ্ধে ইমাগাওয়া পরাস্ত হলে ১৫৬০ সালে ইয়েয়াসু পুনরায় দুর্গটি অধিকার করেন এবং ১৫৭০ সালে হামামাৎসু দুর্গে যাওয়ার পর জ্যেষ্ঠপুত্র মাৎসুদাইরা নবুয়াসুকে এই দুর্গে রেখে যান। ১৫৭৯ সালে নবুয়াসুর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর হোন্দা ক্ল্যান দুর্গের অধিপতি হন। ওদাওয়ারা যুদ্ধের পর এদোতে তকুগাওয়ার স্থানান্তর হলে দুর্গটি তানাকা য়োশিমাসাকে দেওয়া হয় যিনি দুর্গের উন্নতি সাধন করেন এবং দুর্গসীমানা বর্ধিত করেন।
তকুগাওয়া শোগুনেট সামরিক সরকার গঠনের পর ওকাজাকি অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ইয়েয়াসুর বিশ্বস্ত অনুচর হোন্দা ইয়াসুশিগকে দুর্গের অধিকার দেওয়া হয়। ১৬১৭ সালে ত্রিতলবিশিষ্ট দুর্গচূড়া নির্মিত হয়। হোন্দার পর মিজুনো ক্ল্যান ১৬৪৫-১৭৬২ এবং মাৎসুদাইরা ক্ল্যান ১৭৬২-১৭৬৯ পর্যন্ত দুর্গে ছিলেন। মেইজি সংস্কারের পূর্ব পর্যন্ত হোন্দা ক্ল্যানের কিছু অনুসারী ওকাজাকিতে চলে এসেছিলেন।
১৮৬৯ সালে হোন্দা তাদানাও মেইজি সরকারের কাছে ওকাজাকি দুর্গের বশ্যতা স্বীকার করেন। ১৮৭১ সালে Han system বাতিল হওয়ার পরে ওকাজাকি অঞ্চলটি নুকাতা অঞ্চলের অধীনে আসে এবং ওকাজাকি দুর্গটি ওই অঞ্চলের হেড কোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৮৭২ সালে নুকাতা অঞ্চল আইচি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হয় হয় এবং নাগোয়াতে রাজধানী স্থানান্তরিত হয়। ১৮৭৩ সালের সরকারি তথ্য অনুযায়ী দুর্গটি ভেঙে ফেলা হয় এবং অধিকাংশ ভূমি ব্যক্তি মালিকানায় বিক্রি করে দেয়া হয়।
দুর্গের বর্তমান স্থাপনাটি ১৯৫৯ সালে পর্যটক আকর্ষণের জন্য পুনর্নির্মাণ করা হয়য়। ২০০৬ সালে এটি জাপানের ১০০টি সুদৃশ্য দুর্গের অন্যতম হিসেবে ঘোষিত হয়। রড ও কংক্রিটের এই দুর্গটিতে তিনটি ছাদ এবং অভ্যন্তরীণ ৫টি তলা আছে। এর ভিতরে মূল দুর্গের আসবাব, জাপানি তলোয়ার, বর্ম ও স্থানীয় ইতিহাস প্রদর্শকারী মডেল সাজানো রয়েছে। দুর্গের প্রধান ফটক ১৯৯৩ সনে এবং পূর্বকোণের দরজা ২০১০ সনে পুনর্নির্মাণ করা হয়।
২০০৭ সালে দুর্গের নির্মাণের সময় দুর্গের বহিঃসীমা দেখে বোঝা যায় যে ওকাজাকি দুর্গ একদা জাপানের চতুর্থ বৃহত্তম দুর্গ ছিল।
দুর্গের পার্শ্ববর্তী এলাকাটি এখন একটি পার্ক যেখানে তকুগাওয়া ইয়েয়াসু ও মিকাওয়া স্যামুরাই এর প্রতি উৎসর্গকৃত একটি যাদুঘরও আছে। এছাড়া চায়ের দোকান, নাট্যমঞ্চ, কারাকুরি পুতুলের সাজে ক্লক টাওয়ার এবং আকর্ষণীয় ফটক রয়েছে। চেরি ব্লোসোম, উইস্টেরিয়া ও এজালিয়া ফুল দেখার জন্যও পার্কটি বিখ্যাত।[১]
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
ওকাজাকি ফুল উৎসব
-
ওকাজাকি ফুল উৎসব
-
ওকাজাকি দুর্গের মূল অংশ
-
তকুগাওয়া ইয়েয়াসুর প্রতিকৃতি
-
কারাকুরি পাপেট
সাহিত্যে প্রয়োগ
[সম্পাদনা]- Schmorleitz, Morton S. (১৯৭৪)। Castles in Japan। Tokyo: Charles E. Tuttle Co.। পৃষ্ঠা 144–145। আইএসবিএন 0-8048-1102-4।
- Motoo, Hinago (১৯৮৬)। Japanese Castles। Tokyo: Kodansha। পৃষ্ঠা 200 pages। আইএসবিএন 0-87011-766-1।
- Mitchelhill, Jennifer (২০০৪)। Castles of the Samurai: Power and Beauty। Tokyo: Kodansha। পৃষ্ঠা 112 pages। আইএসবিএন 4-7700-2954-3।
- Turnbull, Stephen (২০০৩)। Japanese Castles 1540-1640। Osprey Publishing। পৃষ্ঠা 64 pages। আইএসবিএন 1-84176-429-9।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Yūkyū Rōman Pamphlet (English), City of Okazaki Tourism Division/Okazaki Tourism Association
টেমপ্লেট:100 Fine Castles of Japan