আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি
লেখক | আনা ফ্রাঙ্ক |
---|---|
মূল শিরোনাম | হেট একটেরহাইস |
অনুবাদক | বি.এম. মোইয়ার্ট[১] |
প্রচ্ছদ শিল্পী | হেলমাট সালদেন |
দেশ | নেদারলেন্ড |
ভাষা | ওলন্দাজ ভাষা |
বিষয় | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, জার্মান নাজি বাহিনীর নেদারলেন্ডস অভিযান |
ধরন | ব্যক্তি দিনলিপি |
প্রকাশক | কনটাক্ট পাবলিসিং |
প্রকাশনার তারিখ | ২৫ জুন ১৯৪৭ (ডাচ সংস্করণ) |
বাংলায় প্রকাশিত | ১৯৫২ |
মিডিয়া ধরন | প্রিন্ট (কাগজ) |
ওসিএলসি | ১৪৩২৪৮৩ |
আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি (এক কিশোরীর ডায়েরি নামেও পরিচিত) ওলন্দাজ ভাষায় আনা ফ্রাঙ্ক দ্বারা লিখিত একটি বই। বইটিতে আনা ফ্রাঙ্ক তার দিনলিপির বর্ণনা দিয়েছেন যখন জার্মান নাজি বাহিনীর নেদারলেন্ডস অভিযানের সময় তিনি ও তার পরিবার দুই বছর একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]জার্মান নাজি বাহিনী যখন নেদারলেন্ডস এ অভিযান চালায় তখন অ্যানা ও তার পরিবার একটি বাড়িতে লুকিয়ে থাকেন। অ্যানা তার এই লুকিয়ে থাকা দিনগুলোর বর্ণনা লেখা শুরু করে। অ্যানা ১৯৪২ সালে তার ১৩তম জন্মদিনে তার বাবার কাছ থেকে একটি লাল-সাদা চেক প্রিন্টের কাপড়ে মোড়ানো ছোট্ট লক লাগানো অটোগ্রাফ খাতা পান। এই খাতাতেই ১৯৪২ সালের ১২ জুন থেকে তিনি তার দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ ঘটনা, কারো সংগে কথা না বলতে পারা, নেদারল্যান্ডের অধিবাসী ইহুদিদের জীবনযাপন, বিধিনিষেধ ও পরবর্তীকালে অ্যানা নিজের অনুভূতি, বিশ্বাস ইত্যাদি সম্পর্কে লিখেছেন। অ্যানা ডায়রিটিকে কিটি বলে সম্বোধন করতেন।
অ্যানা ১৯৪৪ সালের ১ আগস্ট পর্যন্ত লিখেছিলেন। তারপর ৪ আগস্ট তিনি সহ তার পরিবার নাজি বাহিনীর হাতে ধরা পরেন এবং সেখনেই ১৯৪৫ সালে টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার মৃত্যুর পর মাইপ গিইস নামক এক ব্যক্তি ডায়রিটি উদ্ধার করেন এবং অ্যানার পিতা অটো ফ্রাংককে ডায়রিটি দেন। অটো ফ্রাংক তাদের পরিবারের একমাত্র জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি।
১৯৪৭ সালে আটো ফ্রাংক এর উদ্যোগে কনটাক্ট পাবলিসিং দ্বারা ওলন্দাজ ভাষায় হেট একটেরহাইস শিরোনামে ডায়রিটি প্রথম বই আকারে বের হয়। প্রকাশ এর পর থেকেই এটি সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে ইংরেজি ভাষায় ডাবলডে ও কম্পানি দ্বারা অ্যানা ফ্র্যাংক-দ্য ডায়েরি অফ আ ইয়াং গার্ল শিরোনামে এর ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশ হয়। বইটি আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি শিরোনামে বাংলায় প্রকাশিত হয়। এখন পর্যন্ত বইটি ৬০টির ও বেশি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। বইটি বিংশ শতাব্দির জনপ্রিয় বইয়ের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।[৩] এছাড়া বইটি অবলম্বনে অনেক নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ https://www.amazon.com/Anne-Frank-Diary-Young-Girl/dp/0553296981
- ↑ https://www.prothomalo.com/allnewsdetails/date/2010-01-13/category/52[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] অ্যানি ফ্র্যাঙ্কের ডায়েরি সংরক্ষণকারী মেইপ গিয়েস মারা গেছেন
- ↑ Goodreads Best (100) Books of the 20th Century #8; The Guardian's (top 10) definitive book(s) of the 20th century out of 50 Best Books defining the 20th century[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ];National Review's List of the 100 Best Non-Fiction Books of the Century ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে #20; The New York Public Library's Books of the Century: War, Holocaust, Totalitarianism. 1996 আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৫১১৭৯০-৫; Waterstone's Top100 Books of the 20th century, while there are several editions of the book. The publishers made a children's edition and an adult which is thicker. There are hardcovers and paperbacks. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে #26